স্টাফ রিপোর্টার: ‘‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি” প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) নানা আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে উদযাপিত এ মৎস্য সপ্তাহে মাছের পুষ্টিগুণ, মৎস্যসম্পদের সম্প্রসারণ, সংরক্ষণ ও এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতপূর্বক মৎস্য শিল্পের অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরতেই এই বিশেষ আয়োজন করা হয়।
মৎস্য সপ্তাহকে ঘিরে মঙ্গলবার দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ছিল র্যালি, পোস্টার প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং পোনা অবমুক্তকরণ সেশন।
সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিভ্রমণ করে অনুষদীয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে মৎস্যসম্পদের উপর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুর্শিদা খান।
র্যালি ও পোনা অবমুক্তকরণ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নুরুন্নবী মন্ডল এর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ ।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, রেজিস্ট্রার, পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রভোস্ট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণা ও দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মৎস্য শিল্পের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে বলেন, পানি দূষণের জন্য প্রকৃতির সুস্বাদু অনেক দেশি মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। তাই এ বিলুপ্তপ্রায় মাছের জাতসমূহ কীভাবে স্বাদু পানিতেও উৎপাদন করা যায় সেদিকে আমাদের অনুষদীয় মৎস্য গবেষকদের মনোযোগ দিতে হবে।”
মৎস্যকে পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস্য অ্যাখ্যা দিয়ে উপাচার্য আরো বলেন, ‘‘গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। আমরা মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত জাত এবং এর ব্যবস্থাপনার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।” এ সময় তিনি মৎস্যের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য জিন ব্যাংক তৈরির আশ্বাস প্রদান করেন।