মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইন্দোনেশিয়ায় ফের বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা ঢাবিতে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির চারুকলা বিভাগের চিত্রপ্রদর্শনী শুরু গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুরে ১৫১ পরিবারের মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ কাপাসিয়ায় নদীতে কচুরিপানা ফেলতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু,অপর একজন নিখোঁজ জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেল গাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: ‘নাশকতার’ প্রমাণ খুঁজছে সরকার পূর্বাচল নতুন শহরে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ ও পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন

প্রাথমিকে দাওরা হাদিস সনদধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার চিঠি

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৪ ভিজিটর
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি মাদরাসার দাওরা হাদিস সনদধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

হেফাজতে ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবির বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে বলেও জানান খালিদ হোসেন।

হেফাজতে ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন। উপদেষ্টা হিসেবে আপনি কি মনে করেন- জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা সাধারণত আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়, এটা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তবে তারা (হেফাজতের নেতারা) যে দাবি করছেন আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি যে এটা নিয়ে আপনার বসা দরকার। যেহেতু হেফাজত ইসলামসহ আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে আপত্তি আছে সংগীত সাবজেক্ট হিসেবে ইনক্লুড করার। তিনি (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা) আমাকে বলেন, ধর্মীয় শিক্ষক নামে আমাদের কোনো পোস্ট আগে ছিল না। সহকারী শিক্ষকরাই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম এগুলো পড়াতেন।’

খালিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি আমাকে বললেন যে ধর্ম শিক্ষার ক্লাস এরই মধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমি তাকে একটা ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) দিয়েছিলাম দায়িত্ব নেওয়ার ৬/৭ মাসের মধ্যে। আমি বলেছি, যে সমস্ত কওমি মাদরাসার ছাত্রের দাওরা হাদিসের সনদ আছে, যেটা বিগত সরকার এমএ অ্যারাবিক ও এমএ ইসলামিক স্টাডিজের সমমর্যাদা দিয়েছিল। আপনি তাদের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিলে তারা ধর্ম, বাংলা এগুলো খুব ভালো করে পড়াতে পারবেন।’

তিনি (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা) বলেছেন, ‘আমি এটা বিবেচনা করবো। আমি এটা ডিও লেটার তাকে দিয়েছি, তো এটা তার মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তারপরও আমি তার সঙ্গে আলাপ করবো এ ব্যাপারে।।’

খালিদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হেফাজতের আপত্তি পর্যালোচনার মধ্যে আছে। হেফাজতের দাবি ও বিভিন্ন ইসলামিক দলের দাবির ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এটা বিবেচনা করছে, কি করা যায়। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল হবে কি না- এটা তো তার মন্ত্রণালয়ের কথা আমি বলাতে পারবো না।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Comments are closed.

এই বিভাগের আরও খবর