সাইফুল্লাহ লবিব, কাপাসিয়া (গাজীপুর): গাজীপুরে তরুণ উদ্যোক্তা ও জামায়াত কর্মীর পুকুরে বিষ দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ নিধন করেছে দুবৃত্তরা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামে রাতের আঁধারে অমি ও আশিকের পুুকুরে এই এই ঘটনা ঘটায় দুবৃত্তরা, যার ফলে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই দুই তরুণ উদ্যোক্তা।
ভুক্তভোগী উদ্যোক্তা ইমতিয়াজ আহমেদ অমি ও আশিক জানান, রবিবার সকালে এলাকার লোকজন পুকুরে মাছ মরে ভেসে আছে দেখতে পায় এবং অমি ও আশিককে খবর দেয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তারা দ্রুত পুকুর পাড়ে এসে দেখতে পান যে, হাজার হাজার মাছ মরে ভাসছে।
তারা জানান, প্রতি রাতে আমরা দুই-তিনবার গিয়ে পুকুর দেখে আসি। কিন্তু, গত রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আসতে পারিনি। এদিকে, পুকুরের পাশে সিসি ক্যামেরা থাকলেও গতকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সিসি ক্যামেরা বন্ধ পাওয়া যায়।
তারা আরো জানান, গতকয়েকছর যাবৎ এ পুকুরে তারা মাছ চাষ করে আসছেন। সম্প্রতি তারা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জামায়াতের কর্মী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যার ফলে তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে কোন মহল এ কাজ করে থাকতে পারে। আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল সব ভেঙ্গে চুরমার করেছে, এদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, তারা দুই বন্ধু কয়েক বছর যাবৎ পুকুরে মাছ চাষ করে আসছে হঠাৎ করে এই অবস্থা দেখে সে খুবই অনুতপ্ত। আব্দুল্লাহ বলেন পূর্ব শত্রুতা ও রাজনৈতিক কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন ইমতিয়াজ আহমেদ অমিত ও আশিক তাদের এটাকে পুঁজি করেও এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
রিফাত হোসেন, ঘাগটিয়া পূর্ব পাড়া অমি ও আশিকের বন্ধু সে বলে যারা এ কাজ করেছে তারা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ, আমরা কখনো এটি কামনা করেনি।
পুকুরের মালিক বাদল মিয়া জানান, দুবৃত্তদের দেওয়া বিষে দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতলা, মৃগেলসহ প্রায় কয়েক লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। এই ঘটনায় তিনি চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবী করেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।