চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে ফেনী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। একই সময়ে হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, রহমতখালি খাল ও নোয়াখালী খালের পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে এবং চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
কেন্দ্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি, তবে আগামী ১ দিন (৩১ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, চট্টগ্রাম বিভাগ ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে উজান ও দেশের অভ্যন্তরের নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি আগামী ৫ দিন এবং গঙ্গা-পদ্মার পানি আগামী ৩ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে, অপরদিকে ৪র্থ ও ৫ম দিন গঙ্গা-পদ্মার পানি স্তিতিশীল থাকতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী ৩ দিন হ্রাস পেতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, সেলোনিয়া ও গোমতী নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকলেও ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদী বিপদসীমা অতিক্রম করে ফেনী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার ও ধরলার পানি আগামী ১ দিন বাড়লেও পরবর্তী ২ দিন হ্রাস পেতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আপার-আত্রাই ও আপার করতোয়া নদীর পানি আগামী ৩ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে আত্রাই নদীর পানি প্রথম দিন বাড়লেও পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল থাকবে। বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী দুই দিনে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।