গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর সদর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের এক বিএনপি নেতার বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য তোফাজ্জল হোসেন শেখ এর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে যায়, সশস্ত্র ডাকাত দল বিএনপির স্থানীয় নেতা তোফাজ্জল শেখের বাড়িতে গেটের তালা কেটে ঘরে ঢুকে। এ সময় তারা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন শেখ জানান, রাতে দরজায় তালা দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে হঠাৎ তালা ভাঙার শব্দ শুনতে পাই। কোন কিছু বোঝার আগেই ১৫-১৬ জনের ডাকাত দল ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমাদের সকলের হাত পা বেঁধে ফেলে এবং আমাদেরকে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। আমার কাছে থাকা নগদ প্রায় ১ লক্ষ টাকা এবং আমার স্ত্রী কন্যার প্রায় ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনায় আমরা ভীত ও শঙ্কিত। এছাড়াও বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত।
এদিকে বিএনপি নেতার বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। বিভিন্ন জেলার মানুষ আমাদের এই এলাকায় এসে কর্ম করে। এক পর্যায়ে কিছু লোক নেশার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে টাকার জন্য চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির মত অপকর্ম করে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের একাধিক অভিযান পরিচালিত হলেও মাদক নির্মুল হচ্ছে না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই সকল প্রকার অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
পরপর একাধিক ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেই সাথে জনমনে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে। সাধারণ মানুষ ধারণা করছেন পুলিশ যদি আইনের সঠিক ব্যবহার করত তাহলে এ ধরনের ডাকাতের মত ঘটনা সংগঠিত হতো না।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ আহমেদ জানান, আমরা ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের চিহ্নিত করতে কাজ করছি। ইতিপূর্বে ব্যারিস্টারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আনোয়ার নামে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে রাত্রি কালিন টহল বৃদ্ধি করা হবে।