কাপাসিয়া প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে একই যুবকের বাড়িতে টানা পাঁচ দিন অনশন করছেন দুই তরুণী। প্রবাসী যুবক এরশাদকে (২৫) ঘিরে এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার কপাটিয়াপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাহিমা আক্তার বৃষ্টি (১৯) গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. এরশাদের বাড়িতে অনশন শুরু করন।
বৃষ্টি অভিযোগ করে বলেন, “গত তিন বছর ধরে এরশাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে ভিডিও কলে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং দু’জনে মিলে কবুল বলে বিয়েও করে। কিন্তু সম্প্রতি দেশে ফিরে সে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে এরশাদের বাড়িতে গেলে তার স্বজনেরা তাকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। “আমি এরশাদের স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি চাই। অন্যথায় এখান থেকে কোথাও যাব না,” হুঁশিয়ারি দেন বৃষ্টি।
এদিকে আরেক তরুণী রিয়া মনি (১৮) নামের একজনও এরশাদের বাড়িতে উপস্থিত হন। তিনি মনোহরদী উপজেলার ধরা বান্দা এলাকার জসিম উদ্দিনের মেয়ে। রিয়া মনির দাবি, প্রবাসে থাকা অবস্থায় এরশাদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিন মাস আগে। তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দেশে ফিরে রেজিস্ট্রি করে তাকে ঘরে তুলে নেবেন।
কিন্তু দেশে ফেরার পরপরই ফাহিমা আক্তার বৃষ্টি স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করে হাজির হলে, বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রিয়া মনিও তার স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী মনি আক্তার ও সাইফুল ইসলাম বলেন, “এরশাদের স্বভাব মোটেও ভালো নয়। সে এভাবে বিভিন্ন মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছে। তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।”
তবে অভিযোগের বিষয়ে এরশাদ আত্মগোপনে থেকে মুঠোফোনে দাবি করেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা।
ঘটনাটি এখন এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।