সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইন্দোনেশিয়ায় ফের বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা ঢাবিতে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির চারুকলা বিভাগের চিত্রপ্রদর্শনী শুরু গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুরে ১৫১ পরিবারের মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ কাপাসিয়ায় নদীতে কচুরিপানা ফেলতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু,অপর একজন নিখোঁজ জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেল গাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: ‘নাশকতার’ প্রমাণ খুঁজছে সরকার পূর্বাচল নতুন শহরে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ ও পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন

বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সংস্কার প্রসঙ্গ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৮ ভিজিটর

হাফিজ ছিদ্দিকী: বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ বাংলাদেশের একটি বিশাল মসজিদ কমপ্লেক্স। ১৯৭০ সাল আমি যখন নবম শ্রেনির ছাত্র ছিলাম আমার শ্রদ্ধেয় পিতা কারী মাওঃ ছিদ্দিকুর রহমান সাহেবের হাত ধরে এই মসজিদে নামাজ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো।
সেই থেকে বহুবার নামাজ পড়া হয়, এমনকি লাইলাতুল কদর পালনের সুযোগ পাই। বিদেশে যাওয়ার সুবাদে ১৯৮৩-২০১৬ নাগাদ এই মসজিদের সাথে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলাম। পাকিস্তান সরকারের অনন্য স্থাপত্য শৈলী মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবন, হাইকোর্ট, সচিবালয়, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, জিপিও, সামুদ্রিক বন্দর, ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অন্যতম।

ঢাকায় আসার পর কয়েকদিন নামাজ পড়া হলেও গতকালই (১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) আছর নামাজ শেষে বাইতুল মোকাররম কমপ্লেক্স ঘুরে দেখার সুযোগ পাই। ১৯৫৯ সালে ঢাকায় একটি জাতীয় মসজিদ করার পরিকল্পনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির অন্যতম ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি পাকিস্তানী নাগরিক জনাব আবদুল লতিফ ভাওয়ানী।

বর্তমান মসজিদের যায়গায় একটি বিশাল পুকুর ছিলো (পল্টন দিঘি) এই সাড়ে আট একরের দিঘিটি জনাব আবদুল লতিফ ভাওয়ানী নিজস্ব অর্থায়নে খরিদ করে পাকিস্তান সরকারের নামে ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের নাম করা আর্কিটেক আব্দুল হোসেইন থারিয়ানীর দক্ষ হাতে নিচ তলায় সুবিশাল মার্কেট সহ নানা কারুকার্য ছিলো দৃষ্টি নন্দন। প্রায় সাড়ে ৩০ মিটার উচ্চতায় নবম তলা ভবনে এক সংগে ৪২ হাজার মুসল্লি ধারন ক্ষমতা রয়েছে যা তৎকালীন বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি পুরোপুরি চালু হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের শুরুতে। মসজিদটি পরিচালনা ও ইসলামী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের শাসন আমলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের অধিনে পরিচালনায় দেয়া হলেও যখন যেই সরকার ছিলো তাদের মর্জি মোতাবেক পরিচালিত হলেও সঠিকভাবে পরিচালনা পরিচর্যা করা হয়নি।

 

বাইতুল মোকাররম মসজিদের চারি পাশে ঘুরে দেখে হতবাকই হলাম। সুবিশাল মার্কেট থেকে কোটি কোটি টাকা আয়ের সাথে ভগ্নদশা কমপ্লেক্সের মিল খুঁজে পাইনি। চারিদিকের সিঁড়িগুলোর‌ জীর্ণশীর্ণ অবস্থা নানা খড়কুটো বনজি গাছে জংগল আবর্জনা। অধিকাংশ জায়গায় পাথর বা টাইলসের ভগ্নাংশ। পিছনের দিকে উম্মুক্ত খোলা আকাশের নিচে ছাদ বিহীন হ্যাংগার ঝুলছে। মনে হচ্ছে যেনো একটি পতিত অট্টালিকা। আমাদের গ্রামীণ জনপদে বহু মসজিদের সৌন্দর্যের বাহারী চক্ষু শীতল হয়ে যায়।

দূর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য যে, কোনো সত্যিকারের আল্লাহ ওয়ালা মানুষ গুলো নয় বরং এই যাবৎকালের দখলদারিত্বে ছিলো বিদ্যমান। আরো পরিলক্ষিত বিষয় ছিলো কবর পূজারী ভান্ডারী মুশরিকদের কব্জায় বন্দিদশা ১৮ কোটি মূসলিম দেশের জাতীয় মসজিদ। যারা রাসুলুল্লাহ দঃ মিম্বরের অবমাননা করে চাটুকারিতা ও সরকারের দাসত্ব করেছে। যার প্রমান দেশে একটি সফল গনবিপ্লবের মাধ্যমে বাইতুল মোকাররমের ঈমাম মোয়াজ্জেন পালিয়ে যাওয়ায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে।

গেলো সপ্তাহে মুসল্লিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের দাবী হলো এতো বিশাল আয়ের এই মসজিদ কমপ্লেক্স যেনো জনগনের আকাংখ্যা অনুযায়ী মসজিদের সংস্কার করা, যোগ্য হাক্কানী ঈমাম, খতিব ও মোয়াজ্জেন দ্বারা পরিচালিত হউক দেশের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং বিজ্ঞ আলেমদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী ও জবাবদিহিতা মূলক কমিটির হাতে দায়িত্ব অর্পণ করা হউক।

 

লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ ছিদ্দিকী

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Comments are closed.

এই বিভাগের আরও খবর