গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী ইউনিয়নের বর্তাপাড়া এলাকায় বিএনপির এক কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে আহত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় বিএনপির একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বের হন শহিদুল ইসলাম।
তিনি পিরুজালী সড়কের মন্ডলবাড়ী রোডের আধুনিক টেইলার্সের সামনে পৌঁছালে পিরুজালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বক্কর, খলিলুর রহমান, রফিকসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শহিদুল ইসলামকে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আরও দাবি করেন, অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা নিজেদের স্বার্থে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোনো সময় আমার পরিবার বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারে।
এ সময় তিনি গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও ন্যায্য বিচারের দাবি জানান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।