মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইন্দোনেশিয়ায় ফের বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা ঢাবিতে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির চারুকলা বিভাগের চিত্রপ্রদর্শনী শুরু গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুরে ১৫১ পরিবারের মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ কাপাসিয়ায় নদীতে কচুরিপানা ফেলতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু,অপর একজন নিখোঁজ জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেল গাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: ‘নাশকতার’ প্রমাণ খুঁজছে সরকার পূর্বাচল নতুন শহরে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ ও পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন

ইন্দোনেশিয়ার আন্দোলনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সংহতি

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৬ ভিজিটর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত এক ডেলিভারি রাইডারের মৃত্যুর পর আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি হিসেবে গ্র্যাব ও গোজেক অ্যাপের মাধ্যমে খাবারের অর্ডার দিচ্ছেন জাকার্তাসহ ইন্দোনেশিয়ার নানা শহরে। অর্ডারকৃত এসব খাবার ডেলিভারি রাইডাররা নিজেদের কাছে রাখছেন কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন।

গত সপ্তাহে ২১ বছর বয়সী গোজেক চালক আফফান কুরনিয়াওয়ান বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গাড়িচাপায় নিহত হন। ওই ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।

ফিলিপাইনের সেবু দ্বীপের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী তারা বিবিসিকে বলেন, আমি সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছি, ইন্দোনেশিয়াতেও গিয়েছিলাম। ওখানকার মোটরসাইকেল চালকরা সবসময় বন্ধুসুলভ। তাই মনে হয়েছে, তাদের সাহায্য করতে হবে। এখন একমাত্র উপায় খাবার পাঠানো। ফিলিপিনোদেরও এই উদ্যোগে যুক্ত হতে তিনি তাগালগ ভাষায় একটি নির্দেশনা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

মালয়েশিয়ার ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আয়মান হরিজ মুহাম্মদ আদিব বলেন, তিনি ইন্দোনেশিয়ার মানুষের ঐক্য ও সাহস দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা প্রমাণ করেছে যে সাধারণ মানুষেরও ক্ষমতা আছে। যখন অন্যায় বাড়ে, তখন একসঙ্গে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাকার্তার এক ডেলিভারি রাইডার তৌফিক সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে পাঠানো খাবারের অর্ডার পেয়েছেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে অর্ডার অনেক কমে গেছে। তাই এই সহায়তা আমাদের জন্য খুব দরকারি। খাবারও পাওয়া গেলো, আবার সহমর্মিতাও পেলাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক ডেলিভারি চালক কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ও সিঙ্গাপুরের এক অর্ডারকারীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, আজ অনেকেই এমন অর্ডার দিয়েছেন, যেখানে লেখা ছিল খাবার পৌঁছে না দিয়ে চালকেরা নিজেরাই খেয়ে নিন বা ভাগ করে নিন। আমি এখন আমার খাবার সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেবো।

গ্র্যাব জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বাইরে বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়া থেকে অর্ডারের পরিমাণ বেড়েছে। যদিও মোট কতজন এতে অংশ নিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার সড়কে প্রায় ১৫ লাখ ফুলটাইম ও পার্টটাইম ডেলিভারি চালক রয়েছেন। তারা সবুজ ইউনিফর্ম পরে গ্র্যাব ও গোজেকের হয়ে খাবার, মুদি সামগ্রী বা যাত্রী পরিবহন করেন।

গত ২৫ আগস্ট জাকার্তায় প্রথম বড় বিক্ষোভ হয়। সংসদ সদস্যদের বাড়তি ভাতা ও বাড়ি ভাড়ার বরাদ্দ নিয়ে ক্ষোভ থেকে আন্দোলন শুরু হয়। তবে আফফান কুরনিয়াওয়ানের মৃত্যু আন্দোলনকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়। পরে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো ও পুলিশপ্রধান দুঃখপ্রকাশ করেন ও কিছু ভাতা কমানোর ঘোষণা দেন। তবু বিক্ষোভ থামেনি। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শত শত নারীর নেতৃত্বে রাজধানীতে বড় সমাবেশ হয়।

সূত্রঃ বিবিসি

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Comments are closed.

এই বিভাগের আরও খবর