শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নতুন মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান। বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন: জার্মান রাষ্ট্রদূত হ্যাকিং রোধে ব্যবহারকারীকেই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: ভূমি সচিব মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে তরুণ নিহত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে পশ্চিম তীর দখলে আইন পাসের পথে ইসরায়েল শরীরে ব্যথা অনুভব করলে রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে কালিগঞ্জে র‌্যালি ও আলোচনা সভা গাজীপুরের কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে ভোট দেওয়ার অ্যাপ সেন্টমার্টিনে নভেম্বরে রাত্রিযাপন করা যাবে না

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছে ভারত- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৪ ভিজিটর

স্টাফ রিপোর্টার: কোনো আইনি সুরক্ষা ছাড়াই ভারত গত মে মাস থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জোরপূর্বক পাঠিয়ে দিয়েছে। অনেককে আটক ও নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পরিচালিত কয়েকটি রাজ্যে রোহিঙ্গা ও বাংলাভাষী মুসলমানদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে অভিযান শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে অন্তত ১৯২ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যদিও তারা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরে নিবন্ধিত ছিলেন। এছাড়া আরও ৪০ জনকে নৌকায় তুলে মিয়ানমারের উপকূলের কাছে ফেলে দেওয়া হয়। অনেকে অভিযানের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

সংস্থাটি কক্সবাজারে নতুন আগত নয়জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, আটক অবস্থায় পুলিশ মারধর করেছে, টাকা-পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। অনেকে কাশ্মীর, অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছে গ্রেফতার এড়াতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে দিল্লি থেকে আটক ৪০ রোহিঙ্গাকে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পাঠিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। পরে মিয়ানমারের উপকূলে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে নামতে বাধ্য করা হয়।

এক শরণার্থী বলেন, আমাদের সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়েছিল। এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, আমরা সবাইকে মেরে ফেললেও কেউ জবাব চাইবে না।

এখন ভারতে থাকা রোহিঙ্গারা তীব্র অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। জম্মুতে অন্তত ৩০ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, শিবির ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের ইউএনএইচসিআর কার্ড বা মিয়ানমারের জাতীয়তা নথি কোনো কিছুকেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমলে করছে না।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানি করে ঠিক করবেন রোহিঙ্গারা শরণার্থী নাকি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তবে গত মে মাসে আদালত বহিষ্কার ঠেকাতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সমুদ্রে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসার অভিযোগকে সুন্দরভাবে সাজানো গল্প বলে উড়িয়ে দেন।

ইলাইন পিয়ারসন বলেন, ভারত সরকারকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভয় দেখানো, আটক ও অবৈধ বহিষ্কার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে।’

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Comments are closed.

এই বিভাগের আরও খবর