মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের জন্য কর্মসূচি চূড়ান্ত করলো সরকার ইন্দোনেশিয়ায় ফের বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা ঢাবিতে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির চারুকলা বিভাগের চিত্রপ্রদর্শনী শুরু গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুরে ১৫১ পরিবারের মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ কাপাসিয়ায় নদীতে কচুরিপানা ফেলতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু,অপর একজন নিখোঁজ জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেল গাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: ‘নাশকতার’ প্রমাণ খুঁজছে সরকার

গাজীপুরে প্রতিমা ভাঙচুর: কিশোরদের ছেলেমানুষি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার আশ্বাস জিএমপি’র

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৮ ভিজিটর

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানাধীন শ্মশানঘাট এলাকায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও তদন্তে পরিষ্কার হয়েছে, এটি কোনো পরিকল্পিত বা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, বরং নিছক কিশোরসুলভ ছেলেমানুষির ফল।

পুলিশের তথ্যমতে, এ ঘটনায় রাকিব হাসান পাটোয়ারী (১৩) ও নাজমুল ইসলাম (১২) নামে দুই কিশোরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব জানায়, প্রতিমা তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে কারিগরদের খারাপ ব্যবহার ও তাড়িয়ে দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয় এবং আবেগের বশবর্তী হয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে।

গাজীপুর মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাপ্পি দে বলেন, “এটি কোনো পরিকল্পিত ঘটনা নয়, কেবল কিশোরদের ছেলেমানুষি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কোনো কারণ এতে নেই। বরং আমরা এটিকে শিক্ষণীয় ঘটনা হিসেবে দেখছি যাতে ভবিষ্যতে সবাই আরও সতর্ক হয়।”

ঘটনার পরপরই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার, রবিউল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং যথাযথ তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এছাড়া, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত কমিশনার, মোঃ জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে কোনো প্রকার সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণ কিশোরদের আবেগপ্রসূত ছেলেমানুষি। গাজীপুরে দীর্ঘদিনের ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অটুট থাকবে। পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।”

অগ্রগামী যুব সংঘের আয়োজনে নির্মাণাধীন প্রতিমাটি কাপড় দিয়ে ঘেরা থাকলেও পাহারার ব্যবস্থা বা সিসি ক্যামেরা ছিল না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

সংশ্লিষ্টরা একমত যে, এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক সহাবস্থানের বন্ধনকে দুর্বল করতে পারবে না।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Comments are closed.

এই বিভাগের আরও খবর