স্টাফ রিপোর্টার: নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নানা রকম ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। তবে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে বিশ্বাস করি, কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ৪৭ বছরের গৌরবান্বিত পথচলায় বিএনপি বরাবরই দেশের গণতান্ত্রিক, জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়ে এসেছে। তাই আসুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে জনগণের কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিএনপি যেমন অতীতে বিচ্যুত হয়নি; ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও আমরা বিচ্যুত হবো না। বিএনপির শেকড় এই বাংলাদেশ।
রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।
৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী এবং ২৪ এর ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ ও হতাহত হয়েছেন তাদের স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ ও হাত-পা-চোখ হারানো শত শত আহত যোদ্ধার আর্তনাদের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ এখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সময় এবং সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উপায় জাতীয় নির্বাচন। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়।
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে অবশ্যই। তবে জনগণের অধিকার চর্চা এবং প্রয়োগের পথ সৃষ্টি না করে কোনো সংস্কারকেই টেকসই করা যাবে না। পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে গঠিত বর্তমান সরকার জনগণের অভিপ্রায়ের সরকার। তবে এই সরকারের কাছে অবশ্যই একটি দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সরকারের মতো পারফরম্যান্স আশা করা কোনো যৌক্তিক কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের মতো বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতির পরিবর্তে আসুন সবাই মিলে আগে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার গঠন করি। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর আরও সব যৌক্তিক দাবিগুলোর সমাধানের পথ খুঁজি আমরা।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মব ভায়োলেন্সকে আমরা কেউ প্রশ্রয় দেবো না।