স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সহায়তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে একসাথে কাজ করতে যাচ্ছে ইউরোপ বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (EBFCI) এবং সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (CRP)। এ লক্ষ্যে সোমবার রাজধানীতে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই করেছে দুই প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে EBFCI-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলী এবং CRP-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ফিজিওথেরাপিস্ট, সমাজসেবক ও দানবীর এবং সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর, EBFCI-এর সভাপতি ওয়ালি তাসার উদ্দিন, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত EBFCI-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শরীফ এবং ডিবিসি টেলিভিশনের পরিচালক,বিশিষ্ট শিল্পপতি ও স্টাইলিশ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী, স্টাইলিশ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
ওয়ালি তাসার উদ্দিন বলেন, “এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।”
তিনি আরও জানান, “উভয় প্রতিষ্ঠান মিলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবে এবং ব্যবস্থাপনা ও পরামর্শ সেবা দেবে। সেই সঙ্গে দেশ-বিদেশে পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের বিনিময় কর্মসূচিও পরিচালিত হবে।” এই ধরনের উদ্যোগ স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন খাতে জ্ঞান আদান-প্রদান, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর, যিনি ‘বাংলাদেশের মাদার তেরেসা’ নামে পরিচিত, জানান, ১৯৭৯ সালে তিনি সিআরপি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সিআরপি থেকে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ সেবা গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, “আমাদের ১৩টি কেন্দ্রে প্রায় ১,২০০ জন স্টাফ রয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা। আমাদের কেন্দ্রগুলো রয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, মানিকগঞ্জ ও পাবনায়।”
ভ্যালেরি বলেন, “আমরা মূলত সড়ক দুর্ঘটনা বা সহিংসতার কারণে শারীরিকভাবে আহত হওয়া মানুষদের সেবা দিয়ে থাকি, পাশাপাশি মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জড মানুষদের পুনর্বাসনেও কাজ করি। আমরা আমাদের সেবার পরিধি আরও বাড়াতে চাই, কারণ বাংলাদেশে এখনো সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।”