ভলান্টিয়ার্স কমিটি করে ‘ভ্রাম্যমান কনসুলেট সেবা’ আয়োজনের দাবিতে বাফেলো শহরে সংবাদ সম্মেলন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি :  সার্বজনীন ভলান্টিয়ার্স কমিটির” মাধ্যমে ভ্রাম্যমান কনসুলেট সেবা’ আয়োজনের দাবিতে গত  শুক্রবার সন্ধ্যায়  যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো শহরের বাংলাদেশ প্লাজার বাফেলো বাংলা অফিসে সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দের আয়োজনে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কমিউনিটির বিভিন্ন সেক্টর থেকে নেতৃবৃন্দ এই সাংবাদিক সম্মেলনে যোগদান করেন। শেখ হাসিনা পতনের দাবিতে সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্টের ছাত্র বিক্ষোভে অংশ নেয়া কোমলমতি ছাত্র জনতার উপরে বাফেলো বাংলাদেশ সোসাইটির কর্ণধার ও আওয়ামী নেতৃবৃন্দের প্রকাশ্য হামলার কারণে যেই বিতর্কের শুরু হয়েছিল সেই বিতর্ক যেন কমিউনিটির কোথাও প্রভাব ফেলতে না পারে সেই জন্য কোন সংগঠনের ব্যানারে নয় বরং একটি “সার্বজনীন ভলান্টিয়ার্স কমিটির” মাধ্যমে এই সেবা দেয়া হলে সকলের কাছে বেশী গ্রহণযোগ্য হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিবিসি টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান লিটু, কুমিল্লা সোসাইটি অফ বাফেলোর সভাপতি হাবিবুর রহমান (হাবিব), যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নাজমুল আলাম, শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারলেও সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজনের অন্যতম কারিগর ছিলেন ঢাকা মহানগর তাঁতীদলের সাবেক সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রিন্স মৃধা, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি উত্তরের সাবেক সদস্য আবু জাফর ফরাজী, বাফেলো সিটি হলে কর্মরত ও কমিউনিটি একটিভিস্ট মোস্তাফা জাবেদ, বরিশাল বিভাগীয় সোসাইটি অফ বাফেলোর সভাপতি সৈয়দ ঝিলু, বরিশাল বিভাগীয় সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, বিশিষ্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও কমিউনিটি একটিভিস্ট মোঃ জিন্নাহ, বাফেলো বিএনপি নেতা মোঃ জাইদ বিশ্বাস, বাফেলো বিএনপি নেতা ও ঢাকা সমিতি বাফেলোর অন্যতম নেতা সালমান সরকার, বাফেলো বি এন পি নেতা মনির আহসান, বাফেলো বিএন পি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রদল নেতা আকবর হোসেন, সানজিদ, আল মুনছুর সহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশ সোসাইটির ব্যানারে প্রতিবছর ভ্রাম্যমান কনসুলেট সেবা দেয়ার কারণে বাফেলোবাসী ব্যাপক সুফল পেয়ে আসছিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সোসাইটির নেতৃবৃন্দ যারা মূলত বাফেলো আওয়ামীলীগের নেতা, গত জুলাই আগস্ট মাসের ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৩০সে জুলাই বেইলি এভিউনিউর বিক্ষোভস্থলে প্রকাশ্যে ছাত্র জনতার উপর হামলা করেছিলেন এবং পুলিশি হস্তক্ষেপে সেটা নিরসন হয়েছিল। এই হামলা ছিল কমিউনিটির জন্য একটি কলংকজনক অধ্যায়। এই হামলার কোন প্রভাব যেন ভ্রাম্যমান কনসুলেট সার্ভিসকে কলংকিত করতে না পারে সেজন্য সকল আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি ভলান্টিয়ার কমিটি গঠনের মাধ্যমে সেবা দেয়ার আবেদন জানানো হয় এবং কোনো ষড়যন্ত্র যেন এই সার্ভিস বন্ধ করতে না পারে সেজন্য ছাত্র জনতার আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।
তরুণ সমাজ যে কোনভাবেই হোক সমন্বয় করে নতুন একটি ভলান্টিয়ার্স কমিটি গঠন করবে এবং সেই কমিটির মাধ্যমে সেবা দেয়ার আহবান জানানো হয়েছে। তবে কোন প্রকার সময় ক্ষেপন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যদিও কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সোসাইটি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কয়েকজন কমিউনিটি নেতাকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছিলেন যে তারা নাকি ইমেইল করে ভ্রাম্যমান কনসুলেট সেবা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে তাই সংশ্লিষ্ট সেই সকল নেতৃবৃন্দ কনসুলেট অফিসে তাদের পাঠানো ইমেইলের কপি নিয়ে এসে সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণ করেন এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডার যথাউপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।
আসলে বাফেলো কমিউনিটির কোন নেতাই ভ্রাম্যমান সেবা বন্ধ করতে চাইছে না কেবল বিতর্কিত নেতৃত্বের পাশাপাশি নতুন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে সংযুক্ত করে ভলান্টিয়ার্স কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তরুণ সমাজকে সামনে এগিয়ে এসে ত্রিধা বিভক্ত কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ করে নতুন উদ্যমে সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদ সম্মেলনটি শেষ করা হয়।