কোটার চেয়ে বেশি পাস, মধুর সমস্যায় বাফুফে

ক্রীড়া প্রতিবেদক :   বাংলাদেশে ফিফার রেফারি পরীক্ষা মানেই ফিটনেসে অকৃতকার্যের (ফেল) ছড়াছড়ি। কোটা পূরণে সেই অকৃতকার্যের নামই ফিফায় প্রেরণ করতো বাফুফের রেফারিজ কমিটি। আজ (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ফিফা রেফারি পরীক্ষা একেবারে ব্যতিক্রম।

রেফারি ও সহকারী রেফারি মিলিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২০ জন। বাংলাদেশের ফিফা রেফারির কোটা ৪টি। আজ ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করেছেন ৬ জন। কোটার চেয়ে বেশি পাস করায় দু’জন বাদ পড়বেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাফুফের রেফারিজ কমিটি এমন মধুর বিড়ম্বনায় আর পড়েনি।

সহকারী রেফারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ জন। বাংলাদেশে সহকারি ফিফা রেফারির কোটাও ৬টি, ফলে এখানে তেমন বিপত্তি নেই। নারী সহকারী রেফারি সালমা আক্তার বিদেশে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় আজ আর ফিটনেস দিতে হয়নি। দেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা এই পরীক্ষার একটি পর্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নন। ২৭ সেপ্টেম্বর পুনরায় জয়ার জন্য পরীক্ষার আয়োজন করবে রেফারিজ কমিটি।

বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ছিলেন রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি পদত্যাগ করায় এই পদটি শূন্য। সাবেক ফিফা ও এএফসির এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান। তিনি ফিফা রেফারিদের প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, ‘২৭ সেপ্টেম্বর জয়ার জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেই পরীক্ষায় সহকারী রেফারিদের মধ্যে আজ যারা অনুত্তীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে আবার সুযোগ দেওয়া হবে কি না এটা আমরা শিগগিরই একটি সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব। ২৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নেওয়ার পর রেফারি ও সহকারী রেফারিদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করে ফিফায় প্রেরণ করব।’

বিগত সময়ে ফিফার কোটার চেয়ে বাংলাদেশের রেফারিদের পাশ করা সংখ্যা ছিল কম। অকৃতকার্য নাম পাঠানোয় বিতর্কে পড়তো ফুটবল ফেডারেশন। এবার পাশের সংখ্যা বেশি হওয়ায় উল্টো চাপে রেফারিজ কমিটি। ৬ জন রেফারি থেকে ৪ জনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ম্যাচ পারফরম্যান্স, শৃঙ্খলা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সবকিছু বিবেচনা করে রেফারিজ কমিটি ৬ জনের মধ্যে ৪ জনকে বেছে নেবে।’