বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরে লবলং খালে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৫ ভিজিটর

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরে লবলং নদের তীরবর্তী প্রায় ১৩৫টি তরল বর্জ্য সৃষ্টিকারী কারখানা রয়েছে। যা থেকে প্রতি নিয়মিত ১ লক্ষ ৮০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য নদীতে নির্গত হচ্ছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় সমন্বিত ডাম্পিং স্টেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় শিল্প ও গৃহস্থালীজাত বিপুল পরিমাণ কঠিন বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলায় এক সময়ের লবলং নদীটি বর্তমানে লবলং খালে পরিণত হয়েছে। পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল  বিষাক্ত দ্রব্য লবলং খালে ও মহাসড়কের পাশে স্তুপ করে রাখার ফলে ধ্বংস হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র।

শনিবার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উদ্যোগে বিভিন্ন কল কারখানার ম্যানেজমেন্ট কতৃপক্ষের অংশগ্রহণে গাছা খাল ও লবলং নদের দূষণ রোধে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। মহানগরের বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মু. সোহরাব আলী।

সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপ পরিচালক মো. আরেফিন বাদলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. আবুল কালাম, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাছেম বিল্লাহ। সেমিনারে বক্তব্য দেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু ও নদী পরিব্রাজক দল গাজীপুরের সভাপতি মনির হোসেন মোল্লা।

পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মনিরুল হক ও সহকারী পরিচালক (ঢাকা)  মো. সাইফুল্লাহ পৃথক প্রদর্শনীতে গাছা খাল ও লবলং নদের পরিচয়, ঐতিহ্য, দূষণ চিত্র, দূষণের তীব্রতা, নদী দূষণের প্রভাব, উত্তরণের উপায়, তরল বর্জ্য পুনঃ চক্রায়ন/প্রসেসে পুনঃ ব্যবহার, নদী বিষয়ক আইন, দূষণকারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা সহ বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এসময় মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা গার্মেন্টস ও ভোগড়া বাইপাস এলাকার স্কয়ার ফ্যাশন ইউনিট-২ এর পক্ষ থেকেও তাদের তরল বর্জ্য পুনঃ ব্যবহার ব্যবস্থাপনা (ইটিপি) নিয়ে পৃথক দুটি প্রদর্শনী উপস্থাপন করেছেন।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Comments are closed.

এই বিভাগের আরও খবর