স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃত এ. শমসের (৩০) ঢাকার পল্লবী ওয়াপদা বিল্ডিং এলাকার নওসা কসাই এর ছেলে। সোমবার র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লে: কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানা এলাকা হতে এ. শমসেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানার চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত আনিস (২২) হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন এ. শমসের।
তিনি আরো জানান, গত ৬ আগস্ট সকালে দেশব্যাপি সহিংসতা ও সরকার পতনের উদ্ভুত সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে গাজীপুরস্থ কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে থাকা কারাবন্দিরা ভবন থেকে বের হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। তারা কারাগারের ভিতরে ডিউটিরত কারারক্ষীদের জিম্মি করে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি এ. শমসের সহ অন্যান্য বন্দিরা কারাভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক পিলার ভেঙ্গে তা দিয়ে মই তৈরী করে। পরে ওই মই বেয়ে বাউন্ডারীর উপর দিয়ে কারাগার থেকে এ. শমসের সহ ২০৯ জন কারাবন্দি পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার পল্লবী থানা এলাকার একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন শমসের এর বন্ধু অর্থাৎ মামলার ভিকটিম আনিস (২২)। মোবাইল ফোন ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। ওই বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জরুরি কথা আছে বলে ভিকটিম শমসেরকে ডেকে নিয়ে যায় আনিস ও লালু। পরদিন সকালে ওয়াপদা বিল্ডিংয়ের মিল্কভিটা মাঠের পাশের জমিতে ভিকটিমের (শমসের) গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত গত ২০১৬ সালের ১৬ নবেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এ. শমসেরকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়।